হোমিওপ্যাথি একটি প্রাকৃতিক নীতিভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এর মূলকথা হলোঃ সুস্থাবস্থায় কোন ক্রুড (যা শক্তিকৃত নয়) ঔষধ স্থূল মাত্রায় (অধিক পরিমাণে) সেবন করলে মানবদেহ ও মনে যে সব অসুস্থ্যকর লক্ষণ (যা পূর্বে ছিল না) প্রকাশ পায়- অনুরূপ লক্ষণযুক্ত প্রাকৃতিক অসুস্থতায় উক্ত ঔষধের শক্তিকৃত সূক্ষমাত্রা প্রয়োগ করে সেই অসুস্থতা/রোগ বা রোগ লক্ষণ দূর করা।
এই নীতিটি বিজ্ঞানী নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রের সমানঃ প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
এখানে ঔষধ রোগীর দেহে যে পরিমানে ক্রিয়া করে- জীবনী শক্তি দেহে অনুরূপ বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে রোগকে তাড়ায়।
হোমিওপ্যাথিতে রোগ আরোগ্য নিম্নোক্ত নীতি অনুসারে করতে হয়ঃ
(১) সদৃশ্য বিধানে আরোগ্য সাধন।
(২) ক্রুড নয়, শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ।
(৩) একবারে একটিমাত্র ঔষধ প্রয়োগ করা।
(৪) অতি ক্ষুদ্র বা সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ প্রয়োগ।
(৫) রোগের নাম ধরে নয়, রোগীর লক্ষণসমষ্টি দিয়ে চিকিৎসা করা।
(৬) চিকিৎসা আংশিক নয় (অর্থাৎ কেবল বিশেষ অঙ্গের রোগ সারানো নয়), সমগ্রভাবে করা (অর্থাৎ দেহ-মানের সামগ্রিক কষ্টকর লক্ষণ দূর করা)।
No comments:
Post a Comment